ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমেছে, বেড়েছে ভাঙ্গন 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি  

প্রকাশিত : ১৮:৩৫, ৪ জুলাই ২০২১

কুড়িগ্রামে সবকটি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড শনিবার দুপুরে জানায়,ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র,দুধকুমোরসহ জেলার ১৬টি নদ-নদীর পানি বাড়লেও এখন পানি দ্রত কমে যাচ্ছে। তবে ভাঙ্গন বেড়েছে।গত এক সপ্তাহে প্রায় তিন শতাধিক ঘর বাড়ি শত শত একর আবাদী জমি স্কুল ও ঈদগাহ মাঠ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

কয়েকদিনে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কয়েক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর মাঝে ও তীরবর্তী দ্বীপ ও দ্বীপচরের প্রায় ২০টিতে পানি উঠেছে। সেখানকার অন্তত:দশ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে আছেন।অনেকেই বাড়িতে থাকলেও কেউ উঁচু বাঁধে আবার কেউ পার্শ্ববর্তী চরের স্কুলগুলোতে ঠাই নিয়েছেন। এসব এলাকার পাট,সবজি ও বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। কয়েকদিন ধরে এসব খেত ডুবে থাকায় ফসল নষ্টের আশঙ্কা সেখানকার কৃষকের। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক জানান, কয়েকদিনের জলমগ্ন এসব সবজি খেত নষ্ট হওয়ার আশংকা নেই। স্থায়ী হলে তা নষ্ট হতে পারে। এছাড়াও তিনি চরের বন্যার পানির কারনে উলিপুর উপজেলার বজরা ও সদরের পাঁচগাছী কদমতলার কৃষকরা আগাম পাটখেত থেকে পাট কেটে নিচ্ছেন বলে জানান। পানি কমার কারণে সদর উপজেলা ও উলিপুর উপজেলার কয়েকটি স্থানে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। উলিপুরের গোড়াই ও থেতরাইয়ে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ হুমকিতে রয়েছে। সদরের হলোখানা ইউনিয়নের সারডোবে গত কয়েকদিনে প্রায় ১০টি পরিবারের বাড়িঘর নদীগর্ভে চলে গেছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ৯ উপজেলায় বন্যায় কবলিত ও নদী ভাঙা মানুষের সাহায্যে সরকারের দেয়া জিআর চাল ৩৭৫ মে.টন ও প্রত্যেক উপজেলায় ৭৫ হাজার টাকা ইউএনওদের মাধ্যমে বিতরণের কার্যক্রম চলমান। জেলার ৭২ ইউনিয়নের বন্যার্ত ও নদীভাঙা মানুষদের এ সহায়তা পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে। 
কেআই//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি